দুই যুগেও বিচার হয়নি উদীচী ট্রাজেডির ঘাতকদের
প্রকাশিত : ০৮:৪৬, ৬ মার্চ ২০২৪
যশোরে উদীচী হত্যাযজ্ঞের ২৫ বছর পূর্তি হচ্ছে আজ। কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনাটি ছিল দেশে প্রথম। এরপর ঘটে রমনা ট্রাজেডিসহ আরও কয়েকটি ঘটনা। উদীচী হত্যাযজ্ঞের দুই যুগ পার হলেও আইনি জটিলতায় থমকে আছে বিচার কার্যক্রম। তাই হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে নিহতদের পরিবার, আহত ও উদীচী কর্মীদের মাঝে।
১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ গভীর রাতে যশোর টাউন হল মাঠে উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয় ১০ জন। আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ।
সেই রাতে বোমা বিস্ফোরণের পর রক্তাক্ত মানুষের ভিড়ে পড়েছিল নাহিদের দেহটিও। চিকিৎসায় বেঁচে উঠলেও কেটে ফেলতে হয় তার দুটি পা। ২ যুগ ধরে নাহিদ ও তার পরিবার অপেক্ষায় রয়েছে খুনিদের বিচারের আশায়।
সেদিনের ওই বোমা হামলায় ডান পা হারায় সাংস্কৃতিককর্মী সুকান্ত দাস। লিখতে পারেন না ডান হাতে, ডান কানে শুনতেও পারেন না। এমন প্রতিকূলতার মাঝেই অর্জন করেছেন উচ্চতর ডিগ্রি। তারপরও বোমা হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে না পারায় হতাশায় দিন কাটছে তার।
অপরদিকে বোমা হামলায় নিহত উদীচী কর্মী তপনের পরিবার বলছে, বিচার পাইনা তাই বিচার চাই না।
হত্যাকাণ্ডের পর পৃথক দুটি মামলা হলেও সিআইডির ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিটের কারণে ২০০৬ সালের ৩০ মে আদালত থেকে খালাস পেয়ে যায় এই মামলার সব আসামি। পরে সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করলে মামলাটি পুনঃতদন্ত হলেও আটকে আছে আইনের বেড়াজালে।
দেশে বোমা হামলার কালো অধ্যায় শুরু হয় যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মধ্য দিয়ে। এই হামলার মধ্য দিয়ে আজ সাংস্কৃতিক কর্মীরাও নিরাপদ নয়।
বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। ২৩ আসামির মধ্যে ২ জন নিহত এবং একজন মৃত্যুবরণ করেছে। বাকি আসামিরা জামিনে রয়েছেন। দিনটি উপলক্ষে উদীচী যশোর জেলা সংসদ নানান কর্মসূচি পালন করবে।
এএইচ
আরও পড়ুন